বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যাচেষ্টার বিষয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসনাত আব্দুল্লাহ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমরা আজ আলিফ ভাইয়ের বাড়িতে যাই। সেখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল।
সেখানে প্রায় তিন কিলোমিটার মোটরসাইকেলের ভিড় ছিল। ভিড়ের কারণে আমরা যাওয়ার সময় যেই গাড়িতে গিয়েছি, ফেরার সময় আমরা অন্য গাড়িতে উঠেছি। আমাদের তিনটা গাড়ি ছিল। আমাদের সামনের গাড়িতে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
তিনি বলেন, ট্রাকচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তিনি অসংলগ্ন তথ্য দিচ্ছেন। তার তথ্য এবং বাস্তবতার কোনো মিল ছিল না। তিনি জানিয়েছেন তিনি পণ্য খালাসের জন্য যাচ্ছিলেন, তবে তার কাছে কোনো স্লিপ বা কাগজপত্র ছিল না।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দ্বিতীয় যে তথ্যটি সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর—জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের আসামি হচ্ছেন এই ট্রাকের মালিক।
তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও তাদের সেল আমাদের হত্যা করার ঘোষণা দিচ্ছে প্রকাশ্যে। আমাদের মৃত্যুভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা এই মৃত্যুভয় পরোয়া করি না। আমরা জিডি করেছি, এটা যদি হত্যাচেষ্টা হয় তবে প্রশাসন তদন্ত-সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই-একজন হাসনাত মারা গেলে, একজন সারজিস মারা গেলে কিছুই হবে না। আন্দোলনের সময় আমরা দেখেছি পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলছে—একটা গুলি লাগে, একজন পড়ে, আবার অন্য একজন উঠে দাঁড়িয়ে যায়। আমরা একজন পড়ে গেলে আরেকজন হাসনাত, আরেকজন সারজিস দাঁড়িয়ে যাবে। কোনো কিছুই থেমে থাকবে না।
মন্তব্য করুন