জামদানি শাড়ির ফিউশন নিয়ে প্রশংসা ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়িতে অভিনব ফিউশনের মাধ্যমে তিনি যেমন প্রশংসিত হয়েছেন, তেমনি সমালোচনার মুখেও পড়েছেন। সম্প্রতি ‘ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’-এ তার পরা জামদানি শাড়ি ও কাঁথা ফোঁড়ের জ্যাকেট ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
১ ডিসেম্বর মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে জামদানির বিশেষ ফিউশন লুকে হাজির হন জয়া। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ফিউশনটি তৈরি করেন ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট ঋষভ। শাড়িটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন, যা কাঁথা ফোঁড়ের একটি জ্যাকেটের সঙ্গে জুড়ে পরেছিলেন।
জয়া বলেন, “আমি দেশীয় কিছু পরতে চেয়েছিলাম, যা রঙে উজ্জ্বল এবং ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। জামদানি শাড়ির ফিউশন বেছে নিয়েছি কারণ এটি আমাদের সংস্কৃতির একটি গর্ব। মুম্বাইয়ে এটি ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। অনেকেই এর টেক্সচার এবং কাঁথার জ্যাকেট ছুঁয়ে দেখেছেন।”
অভিনেত্রী জানান, অনুষ্ঠানে উপস্থিত বলিউড তারকাদের মধ্যেও তার পোশাক প্রশংসিত হয়েছে। তবে সমালোচকরাও পিছিয়ে নেই। জামদানির এমন উপস্থাপনাকে অনেকেই নেতিবাচকভাবে দেখছেন।
এ প্রসঙ্গে জয়া বলেন, “কেউ দাসখত দেয়নি যে জামদানি এভাবে পরা যাবে না। খাবারের ফিউশন যেমন স্বাভাবিক, পোশাকের ফিউশনও তেমনই। জামদানি শাড়ি যদি স্কার্ট বা জ্যাকেটে রূপ নেয়, তাহলে তাতে সমস্যা কোথায়? ফিউশনের মাধ্যমে জামদানি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও জনপ্রিয় হবে।”
জয়া জানান, ভবিষ্যতে জামদানি, মসলিন, এমনকি গামছা নিয়েও নতুন ফিউশন করার ইচ্ছা রয়েছে তার। তিনি বলেন, “জামদানি এখন অলঙ্কারের মতো একটি সম্পদ। যত বেশি ফিউশন হবে, বিশ্বে এর চাহিদা তত বাড়বে। এ নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।”
‘ফাইন অ্যাকট্রেস অব বেঙ্গল’ হিসেবে মঞ্চে ডাকা হয় জয়াকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কারিনা কাপুর, মনীষা কৈরালা, অভিষেক বচ্চনসহ আরও অনেকে।
অভিনয় ছাড়াও জয়া বর্তমানে প্রযোজনার কাজেও ব্যস্ত। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার প্রযোজিত সাইকোলজিক্যাল ড্রামা ‘ওসিডি’, টলিউডের ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’, ‘কালান্তর’, এবং ‘নকশীকাঁথার জমিন’।
মন্তব্য করুন