উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাস। কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে জনপদ। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) উপজেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ।
বালারহাট এলাকার অটো রিকশাচালক গোলজার হোসেন ও শাওন মিয়া বলেন, সকালে কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বেশি দুর দেখা যায় না। দিন যতই যাচ্ছে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ছে।
কুরুষাফেরুষা এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ও শিশির চন্দ্র রায় জানান, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই ক্ষেতমজুররা ধান কাটছে।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকমন্ডল ওয়ার্ডের ইউপি শ্যামল চন্দ মন্ডল ও চরগোরকমন্ডল এলাকার ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন জানান, তাদের প্রত্যেক ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষই খেটে-খাওয়া দিনমজুর। তাদের অনেকেরই শীত বস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় কাবু হয়ে পরেছে ধরলা ও বারোমাসিয়া অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষ।
জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, তাপমাত্রা দিন দিন নিম্নগামী হচ্ছে। এখন ঠান্ডার অনুভূতি বাড়ছে। ভোর পর্যন্ত ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। সকাল থেকে রোদ কিছুটা উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। ডিসেম্বর মাসে জেলা জুড়ে দুই-তিনটা শৈত্য বয়ে যেতে পারে।
মন্তব্য করুন