কথায় বলে ক্রিকেটের প্রতিটি বলই একটি রেকর্ড। তারপরও মাঝেমধ্যে বাইশ গজের লড়াইয়ে এমন কিছু ঘটনা যায়, যার কোন ব্যাখ্যাই পাওয়া যায় না। তৈরি করে নতুন নতুন সব রেকর্ড। ক্রিকেট ম্যাচে একাদশ সাজানো হয় ব্যাটার, বোলার আর উইকেটকিপার নিয়ে। সবারই রয়েছে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব।
বোলারদের কাজ হচ্ছে ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরানো। এজন্য একটি ম্যাচে একটি দল বড়জোর চার থেকে পাঁচ জন বোলার ব্যবহার করে থাকেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় কখনও কখনও সেটি সাতজনও হতে পারে। এমনকি ৯ জনের বোলিংয়েরও নজির আছে। তাই বলে ১১ জন বোলার।
হ্যাঁ উইকেটকিপারসহ দলের ১১ জনই বল করেছেন! টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে নজিরবিহীন এমন ঘটনাই ঘটল ভারতে। এমন কাণ্ড এর আগে কখনও ঘটেনি। সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে দিল্লি বনাম মণিপুর ম্যাচে এমনটাই দেখা গেলো। উইকেটরক্ষক আয়ুস বাদোনিও বল করলেন। উইকেটও পেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে মণিপুরের বিপক্ষে দলের ১১ জন সদস্যকে দিয়েই বোলিং করিয়েছে দিল্লি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এমন ঘটনা এবারই প্রথম। ম্যাচের শুরুতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক বাদোনি।
ম্যাচে মায়াঙ্ক রাওয়াত, হর্ষ ত্যাগি এবং দিগ্বেশ তিন ওভার করে বল করেন। দু’টি করে ওভার করেন আয়ুস সিংহ, অখিল চৌধুরী এবং আয়ুশ বাদোনি। একটি করে ওভার করেন আরিয়ান রানা, হিম্মত সিং, প্রিয়াংস আর্যা, যশ ঢোল এবং অনুজ রাওয়াত। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন হর্ষ এবং দিগ্বেশ। একটি করে উইকেট নেন আয়ুশ, বাদোনি এবং প্রিয়াংস। একজন রান আউট হন।
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মণিপুরের অধিনায়ক রেক্স। যে কারণে দিল্লির অধিনায়ক বাদোনি এমন অদ্ভুত কাণ্ড ঘটানোর সুযোগ পেলেন। দলের প্রথম সারির পাঁচ জন বোলার প্রথম বল করেন। এর পর অধিনায়ক বাদোনি বল করার জন্য এগিয়ে আসেন।
তিনি উইকেটরক্ষক। যদিও দু’ওভার বল করে একটি মেডেন দিয়ে এক উইকেট নেন বাদোনি। দলের বাকিদেরও এক ওভার করে বল করতে পাঠান তিনি। ২০ ওভারে মণিপুর ১২০ রান তোলে ৮ উইকেট হারিয়ে। সেই রান তুলে সহজেই জিতে নেয় দিল্লি।
মন্তব্য করুন