দীর্ঘ ২৩বছর পর আগামী ২৬অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল। বর্তমানে একই মঞ্চে সকল প্রার্থী একত্রিত হয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্যদিয়ে নিজের জয় সুনিশ্চিত করতে ভোটারদের কাছ থেকে ভোট চাচ্ছেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও জমে উঠেছে প্রার্থীদের ভোট প্রচারণা।
এছাড়া বিগত সময়ে দলের দুর্দিনে নিজেদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যদের কাছ থেকে ভোট চেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। বহুবছর পর উপজেলার প্রতিটি জনমুখর এলাকা ও মোড়গুলো বর্তমানে প্রার্থীদের সাদা-কালো নির্বাচনী পোস্টারে পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে। আগামীর বিএনপিকে সুস্থ পরিবেশে মেধা-মনন দিয়ে পরিচালনার জন্য এই কাউন্সিলে একজন ত্যাগী ও সংগঠন পরিচালনায় দক্ষ এবং যোগ্যতা সম্পন্ন নেতাকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নির্বাচন কমিশনার কাজী রবিউল ইসলাম রবি জানান, ‘আনুমানিক গত ২০০১ সালে সর্বশেষ উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে একটি দলকে চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত কাউন্সিলের কোন বিকল্প নেই। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আবার বিএনপিকে চাঙ্গা হওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। এমন সুযোগকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে আগামীর পথচলার জন্য শক্তি সঞ্চয় করে দলকে আরও গতিশীল করতেই কাউন্সিলের আয়োজন করা হয়েছে। এবার আমরা ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে প্রচারণার কাজ চলমান রেখেছি।
এবারের কাউন্সিলে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভাপতি পদে এস এম আল ফারুক জেমস ও আলহাজ্ব মো. এছাহক আলী, সাধারণ সম্পাদক পদে মোসারব হোসেন, এস এম জাকির হোসেন ও এমদাদুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কাজী সাহাবুল ইসলাম, মেজবাউল হক লিটন, সাখোয়াত হোসেন, রুবেন চৌধুরী ও মতিউর রহমান উজ্জ্বল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নে একই মঞ্চে সকল প্রার্থীরা একত্রিত হয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে আলাদা আলাদা করে ভোট প্রার্থনার কোন সুযোগ নেই। আমরা একটি স্বচ্ছ, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আগামী ২৬ অক্টোবর শনিবার উপজেলার রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হবে। নিজেদের স্বার্থকে বড় করে না দেখে দলকে ভালবাসলে, সামনের দিকে দলকে শক্তিশালী ভাবে এগিয়ে নিতে চাইলে একজন ভালো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে ভোটারদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।’
সভাপতি প্রার্থী আলহাজ্ব মো. এছাহক আলী বলেন, ‘আগামীর জন্য দলকে সু-সংগঠিত ও গতিশীল করতেই আমি ভোটারদের চাহিদার প্রেক্ষিতেই সভাপতি পদে নির্বাচন করছি। আমি আশাবাদী ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে দলের সেবা করার সুযোগ দিবেন।’
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোসারব হোসেন বলেন, ‘দলের দু:সময়ে যিনি দলের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছে ভোটাররা সেই ব্যক্তিকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে কোন ভুল করবেন না। আমি দলের হয়ে আগেও কাজ করেছি আগামীতে সুযোগ পেলে নুয়ে পড়া উপজেলা বিএনপি দলকে সকল বিভেদ ভুলে সবাইকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে শহীদ জিয়ার আদর্শকে আকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে চাই।’
সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী মতিউর রহমান উজ্জ্বল বলেন, ‘কথায় আছে যৌবন যার যুদ্ধে যাবার সময় তার। তাই সুযোগ পেলে দলের হয়ে অবহেলিত ও নির্যাতিতসহ উপজেলা বিএনপিকে এগিয়ে নিতে নতুন উদ্যমে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর দেশনায়ক তারেক রহমানের সঙ্গে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার যুদ্ধে অংশ নিতে চাই।’
মন্তব্য করুন