ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন উত্তর ভাদাইল গ্রামের ৪তলা ভবনের ৪র্থ তলায় নিজেদের ফ্লাটে ভাড়াটে খুনি ও সন্তানের হাতে নির্মমভাবে খুনের স্বীকার হন ভিকটিম মিজানুর রহমান বাচ্চু (৫৩), তার ৪র্থ স্ত্রী স্বপ্না বেগম (২৮) ও মেয়ে জান্নাতুল (৪)। হত্যার পরে হত্যাকারীরা হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া এবং হত্যাকান্ডের প্রমাণ মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন লাগিয়ে কৌশলে রুমের দরজার বাইরে থেকে দরজার ভিতরের হ্যাজভোল্ট লাগিয়ে দেয়। উল্লিখিত নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় রুজু হওয়া মামলার রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ১। তরিকুল ইসলাম @ তারেক @ হৃদয় (২৮) ও ২। তানভীর হাসান হিমেল (২২) দ্বয়কে যথাক্রমে গত ০৪ অক্টোবর, ২০২৪ইং ও ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ইং তারিখে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ঢাকা জেলা । ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন ভাদাইল উত্তরপাড়া গ্রামের ভিকটিম মিজানুর রহমান বাচ্চু (৫৩) তার ৪র্থ স্ত্রী স্বপ্না বেগম (২৮), তাদের মেয়ে জান্নাতুল (৪) এবং ১ম স্ত্রীর সন্তান তানভীর হাসান হিমেল (২২) সহ বসবাস করতেন। একই তলায় অন্য একটি রুমে ভিকটিম মিজানুর রহমান বাচ্চুর পূর্ব পরিচিত তরিকুল ইসলাম @ তারেক @ হৃদয় (২৮) বসবাস করতেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ইং তারিখ সকাল অনুমান ১১:৩০ ঘটিকার সময়ে ভিকটিমের চার তলা ভবনের ৪র্থ তলার বেড রুম থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখে গ্রেফতারকৃত আসামী হিমেল ও তারেক’দ্বয় আগুন আগুন বলে চিৎকার শুরু করলে বাসার অন্যান্য ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের সহায়তায় রুমের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আগুন নেভায় এবং সেখানে ভিকটিম মিজানুর রহমান বাচ্চু (৫৩), তার ৪র্থ স্ত্রী স্বপ্না বেগম (২৮) ও মেয়ে জান্নাতুল (৪) দের মৃতদেহ খাঁটের উপর শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরবর্তীতে ভিকটিম স্বপ্না বেগমের বোন মোছাঃ লাবন্য আক্তার (২৪) ভিকটিম বাচ্চুর ছেলে মেফতারকৃত আসামী তানভীর হাসান হিমেল (২২)’কে সহ থানায় গিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানার মামলা নং ৩৮, তারিখ-১৩/০৯/২০২৪ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। মামলাটি পিবিআই এর সিডিউলভূক্ত হওয়ায় ঘটনার পর থেকেই পিবিআই ঢাকা জেলা মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং পরবর্তীতে স্ব-উদ্যোগে মামলার তদন্তভার করে
মন্তব্য করুন