টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলকে এক কোটি পুরস্কার দিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে বাফুফে ভবনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার ট্রফি নিয়ে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দেশে ফেরার পর একটি ছাদখোলা বাসে চড়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যালয়ে পৌঁছায় মেয়েরা। সেখানে তাদের বরণ করে নিতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সাফ জয়ী মেয়েদের বরণ করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নারীদের এক কোটি টাকা প্রদান করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নারী দলের সঙ্গে দেখা করবেন শনিবার। আমরা নারী ফুটবলের উন্নয়নের সঙ্গী হিসেবে রয়েছি।
ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রথম দেখায় নারী দলের পক্ষ থেকে কোনো চাওয়া ছিল কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, তাদের সব সময় একটাই চাওয়া থাকে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং ম্যাচ খেলার। আমরা বলেছি নারী ফুটবলে উন্নয়নে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে। তাদের চাহিদা ও অভাব পূরণে কাজ করবে।
দেশের নারী ফুটবলাররা সীমিত সুযোগ-সুবিধা ও বেতন বৈষম্য নিরসনে প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, শুধু নারী ফুটবলই নয়, নারী ক্রিকেটে এই সমস্যা রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে বিসিবির সাথে কথা হয়েছে। বাফুফের সাথে আলোচনা হবে। অবশ্যই এই বৈষম্য দূর করতে হবে।
দেশে ফেরা সাফ জয়ী মেয়েদের জমকালো বরণদেশে ফেরা সাফ জয়ী মেয়েদের জমকালো বরণ
চ্যাম্পিয়নদের শুভেচ্ছা জানাতে বিকেল সোয়া পাঁচটা থেক অপেক্ষায় ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সাবিনারা আসার পর বাফুফের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে যান তিনি। সেখানে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সৌজন্য দেখা করেন উপদেষ্টা। তার সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রণালয় ও এনএসসির কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ ২-১ গোলে নেপালকে হারায়। গোল দুটি করেন মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা। নেপালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ফরোয়ার্ড আমিশা। এ নিয়ে ছয়বার হৃদয় ভাঙলো নেপালের। গত আসরেও তারা বাংলাদেশের কাছে শিরোপা হারিয়েছিল।
মন্তব্য করুন