এফ নিউজ ডেস্ক
১০ নভেম্বর ২০২৪, ৪:৫২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর শুনানি শুরু

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।

রোববার (১০ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি শুরু হয়।

শুরুতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এখন শুনানি করছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. রেজাউল হক।

২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছিলেন খালেদা জিয়া।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একইসঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট।

সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।

হাইকোর্টের ওই রায়ের আগের দিন ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একটি রায় দেন। রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। গত ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার অংশ হিসেবে নিজের খরচে পেপারবুক (মামলা বৃত্তান্ত) তৈরির আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট সে আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এখন পেপারবুক তৈরি হলে আপিল শুনানি হবে।

যদিও এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এজেন্সি প্রতি এক হাজার কোটা বহাল রেখেই সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ২০২৫ সনের হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে

টঙ্গী ইজতেমার মাঠে সাদপন্থীদের হামলার ঘটনায় জামালপুরে বিক্ষোভ

২০২৫ সালে রওনা দেওয়া বিমানটি পৌঁছায় ২০২৪ সালে

ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু আজ

হবিগঞ্জে কারখানার গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণে প্রকৌশলীসহ নিহত ৪

এরা ডামি সরকার বলেই সামান্য ফু দিতেই উড়ে গেছে: ডা. শফিকুর রহমান

সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে কাংখিত বিজয়ের জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে- আমিরে মজলিস

আমাদের উত্তরা ফাউন্ডেশন এর ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ও শীত বস্ত্র বিতরণ

গাজীপুর টঙ্গীতে আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

১০

সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীকে হুশিয়ার করলেন ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ।

১১

৩ মাসেও শব্দদূষণ কমেনি ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায়

১২

অভিষিক্ত কনস্টাসকে কোহলির ধাক্কা, সমালোচনার ঝড়

১৩

যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ইসরাইল ও হামাসের

১৪

আ.লীগ দেশের মানুষের রিজিক তুলে নিয়েছে: জামায়াত আমির

১৫

অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা কপালপোড়া জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে: হাসনাত

১৬

যুবদলের নাম ভাংগিয়ে সরকারি জায়গা ও মার্কেট দখলে আবু সাঈদ ও মুরগী সোহেল বেপরোয়া।

১৭

ধামরাইয়ের সাবেক মেয়র কবীর মোল্লাকে ছাত্র হত্যার মামলায় গ্রেফতার করে র‌্যাব,

১৮

২৮ ডিসেম্বর খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের দ্বাদশ অধিবেশন

১৯

রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা

২০