বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ ৮ কর্মকর্তাকে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে তাদের ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান।
ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়েছে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসি’র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক ও ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে তাদের হাজির করার নির্দেশ দেন।
গত সোমবার জুলাই-অগাস্টের ‘গণহত্যার’ মামলায় সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং সাবেক একজন বিচারপতিসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অন্তত ৫০টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়ে। এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেকটি মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘটিত দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম চালাচ্ছে।