সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে কাংখিত বিজয়ের জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে- আমিরে মজলিস
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার যদিও বিদায় নিয়েছে কিন্তু কাংখিত বিজয় এখনো আসেনি। সকল ধরণের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে কাংখিত বিজয়ের জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
আজ সকাল ১০ টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের দ্বাদশ অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মাধ্যমে তাকে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে এবং তারা দেশের যে টাকা বাইরে পাচার করেছে তা দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
অধিবেশনটি উদ্ভোধন করেন খেলাফত মজলিসের সাবেক আমীর, বর্ষিয়ান আলেমে দ্বীন হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক।
উক্ত অধিবেশনে বক্তব্য রেখেছেন খেলাফত মজলিসের উপদেষ্টা ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান, মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হেসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদের সালেহ, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, এবি পার্টির আহবায়ক মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মুফতি আলী হাসান উসামা এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
অধিবেশনে আরো উপস্থিত খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি এড. তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী, শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রমুখ।
উক্ত অধিবেশনে সারাদেশ থেকে খেলাফত মজলিসের অন্তত ২০ হাজার ডেলিকেট অংশগ্রহণ করেছেন।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, আমরা ঐক্য চাই। আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাইকে বিভেদ পরিহার করে ঐক্যের পথে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ সবচে’ বেশি নির্যাতন করেছে ওলামায়ে কেরামের উপর। তারা ক্ষমতায় এসেই বিডিয়ার হত্যাকান্ডের মাধ্যমে তাদের যাত্রা শুরু করেছিলো। পরবর্তীতে তারা জামায়াতে ইসলামীর ১১ জন দায়িত্বশীলকে হত্যা করেছে।
মন্তব্য করুন