জেদ্দা বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বোর্ড২০২৫ নির্বাচনে অঅভিবাবক পরিষদের নিরন্কুস বিজয়।
জেদ্দা থেকে রফিক চৌধুরীঃ-জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বোর্ড ব্যবস্হাপনা কাউন্সিল ২০২৫ নির্বাচন অনুশ্ঠিত হয়েছে অত্যান্ত সুশৃঙ্খল ও নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধদিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শ্বৈরচার শেখ হাসিনার পতনের পর এই প্রথম বারের মত প্রতিদ্বন্দ্বীতা পূর্ণ ভোট আমেজ লক্ষ্য করা গেছে
দীর্গ ১৫ বছর পর উক্ত নির্বাচন জুড়ে ছিল সাজ সাজ রব আর উৎসব মুখর পরিবেশ। এবং ছিল নজিরবিহীন রয়েল সিকুররিটির নিরাপত্তা থাকার পরও বেগ পেতে হয়েছে ভিড় সামলাতে।
বাহিরের চেয়ে ভিতরের পরিবেশ ছিল আরও সুশৃঙ্খল ও সচ্চ । পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াই শুরু থেকে শেষ পযন্ত সুপারভাইজ করেন সৌদি মিনিস্টারীর প্রতিনিধি গন বাংলাদেশ কনসুলেট জেদ্দার উদ্বতন কর্মকর্তা এ,এস,এম, সায়েম, কাউন্সিলর, (কনস্যুলার উইং)ভারপ্রাপ্ত,অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এর উপস্তিতিতে ও পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্তিত ছিলেন সাংবাদিক বাহার উদ্দিন বকুল ও সাংবাদিক রফিক চৌধুরী, পুরো নির্বাচনি প্রক্রিয়া ও ভোট দান ভোট গননা ও বিজয় ঘোষনা পযন্ত উপরোক্ত সবাই উপস্তিত ছিলেন।
উক্ত নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করেন গার্ডীয়ান ফোরামের থেকে তিন জন।
আর অভিবাক পরিষদের ৫ জন। এর মধ্যে অভিবাবক পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান ভাইসচেয়ারম্যান সহ চার জনেই নির্বাচিত হয়েছেন অন্যদিকে গার্ডীয়ান ফোরাম থেকে একজন সদস্য নির্বাচিত হন। যথাক্রমে
প্রাপ্ত ভোট ও অভিবাবক পরিষদ থেকে ১৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন
ডা: ওমর ফারুক, ১৩৬ ভোট পেয়ে ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আখতারুজ্জামান, ১২৮ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ডাঃ মহি উদ্দিন ১২৩ ভোট পেয়ে মোহাম্মদ আবু সোহেল সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, অন্য দিকে গার্ডীয়ান ফোরাম থেকে ১২৩ ভোট পেয়ে মোহাম্মদ মামুনুর রহমান তাজ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
শ্বৈরচারী শেখ হাসিনার পতনের পরে, এই প্রথম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ জেদ্দা’র “স্কুল ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল নির্বাচন ২০২৫’এ শত ভাগ যোগ্য,অভিজ্ঞ ও শিক্ষিত একটি প্যানেল নির্বাচিত প্রতিনিধি পেয়েছেন বলে জানান অভিভাবক মহল।
তারা মনে করেন এবার প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশী এই স্কুলটি তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।
আগে যারা পরিচালনার দায়িত্ব ছিল অনিয়ম-দূর্নীতি স্বজনপ্রীতি আর স্কুলের ফান্ড ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই হয়নি।
অভিবাকরাা আরও বলেন স্কুলের ফান্ড লুটপাট হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও উপযুক্ত বিচার হয়নি।
দলীয় পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে,টাকার বিনিময়ে ভোট কিনে নির্বাচিত হওয়ার মত ঘটনা ও ঘটেছে।
স্কুলের অধ্যক্ষের অনিয়ম ধরা পড়ার পরেও তাকে আইনের মুখোমুখি না করে দেশে পালিয়ে যাবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
স্কুলের ভবন নিজের কারখানার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
স্কুলের ফান্ডের টাকায় দলীয় লোকদের বড় বড় গরু আর খাসি জ’বা’ই করে খাওয়ানো হয়েছে। এবং
পছন্দের ও দলীয় লোকদের সন্তানের বেতন ফি মওকুফ করে দেয়া হয়েছে।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্কুলের গাড়ি পছন্দের লোকের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দেয়া হতো,পছন্দমত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে,অযোগ্য লোককে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদ যখন লুটপাটে ব্যস্ত ছিল,তখন স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কোন যত্ন ছিলনা ফলে প্রতিদিন স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। কমেছে পাশের হার ও।এবার যে প্যানেলটি নির্বাচিত হলো তারা স্কুলের এই হারানো গৌরব গুলো আবার ফিরিয়ে আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন অভিবাক বৃন্দ। অন্যদিকে গার্ডীয়ান ফোরামের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে উক্ত স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার মানউন্নয়নে কাজ করে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন