নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর শরীফ বিন আকবর খান ও রাজউকের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক অথরাইজড অফিসার নুর আলমের ভূয়া প্লানপাশের নামে ক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে শত কোটি টাকা । তথ্য সূত্রে জানা যায়,নুর আলম যখন সাভার আঞ্চলিক অফিস ৩/১ এর অথরাইজড অফিসার ছিলেন , তখন ভূমি দস্যু তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান শরীফ বিন আকবর খানের সাথে তার একটি রফা দফা হয়। মানুষের জমিতে সাইন বোর্ড লাগিয়ে নিজের জমি বলে ভূয়া কাগজপত্র নুর আলমকে দিলে সে ভূয়া প্লান দেখিয়ে জনগনকে বোকা বানিয়ে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর হাউজিং প্লান পাস আছে বলে জণগনের কাছ থেকে কোম্পানি কয়েকশত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এই জঘন্য কাজের জন্য প্রকৌশলী নুর আলম তাসাউফ থেকে কোটি টাকা ঘুষ গ্ৰহণ করে। যদিও প্রকৌশলী নুর আলম এখন সাভার নেই তারপরও টাকার গন্ধে প্রতিদিন ছুটে যায় সাভার বিরুলিয়া সাদুল্লাপুর। মাঝে মধ্যে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট এর মিরপুর ১ এর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের অফিসে বসে দেন দরবার করে থাকেন প্রকৌশলী নুর আলম। এসকল বিষয়ে প্রকৌশলী নুর আলমকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে তাসাউফের সাথে এখন কোন সম্পর্ক নেই।একসময় তাসাউফের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল। আমি এখন সাভার জোনে নেই আমি নারায়ণগঞ্জে বসি ।এখন সেখানে অন্য অফিসার কাজ করে। তথ্য সূত্রে জানা যায়, তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান শরীফ বিন আকবর খান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আশুলিয়া ও যাত্রা বাড়িতে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার দায়ে দুটি মামলার আসামি । জানা যায়,তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাভার বিরুলিয়া সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯ জুলাই ২০২৪ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছাত্র জনতার উপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে অনেক ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে। ঐ ঘটনায় ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মুজাহিদুল ইসলাম গুলি বিদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলেন। সুস্থ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন মায়ের নং সি আর ৭৯৮/২৪ । মামলায় ৫৭ জনকে আসামি করা হয়।ঐ মামলায় উল্লেখ করা হয় শরীফ বিন আকবর খান আওয়ামী লীগ ও পুলিশকে সাথে নিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। আদালত সূত্রে আরো জানা যায় ০৫ ইং আগষ্ট সাভার আশুলিয়ায় পুলিশ আওয়ামী লীগেকে সাথে নিয়ে শরীফ বিন আকবর খান ছাত্র জনতার উপর বৃষ্টির মতো গুলি করে প্রায় ৯০ জন মানুষ হত্যা করেছে। শুধু মানুষ হত্যা করে শান্ত হয়নি মৃত লাশকে পুড়িয়ে নৃত্য করেছে শরীফ বিন আকবর খান। ঐ ঘটনায় সিজিএম আদালতে গুলি বিদ্ধ জাফের আলী সরদার বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন যার নং ১৩১৬/২৪ । মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে থেকে শরীফ বিন আকবর খান গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হলেও সে এখন বহাল তবিয়তে তার প্রতারণা মূলক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার মীরপুর ১ এ মূক্তিযোদ্ধি মার্কেটে ব্যবসায়ীক অফিস করলেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের অর্থ যোগান দিয়ে আসছে।
হত্যা,সন্ত্রাস ও ধর্ষণ যার নিত্যদিনের কাজ। সাভার বিরুলিয়া সাদুল্লাপুর একযুগ ধরে রাম রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে শরীফ। ছিঁচকে চোর থেকে আজ ৫ শত কোটি টাকার মালিক। হত্যা, সন্ত্রাস,গুম,খুন যার নিত্যদিনের কাজ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, সাভার বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর মৌজায় ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাধারণ ভূমি মালিকদের জমি বায়না দলিল করে জোর পূর্বক দখল করে নেয়। একসময় ঐ এলাকার সবচেয়ে বড় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি দক্ষিণা সিটির সাথে তার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তখনো দক্ষিণা সিটির জমি নিজের জমি দাবি করে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট কোম্পানি লিমিটেড এর সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে নিজের জমি বিক্রি করা শুরু করে দেয়। সাদুল্লাপুর এলাকা ঘুরে জানা যায় , অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের বোকা বানিয়ে জমি বিক্রির নামে করে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে শত শত কোটি টাকা।
দখিনা সিটির মালিক কর্ণেল ( অবঃ) আযম সাহেবের সাথে এবিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, শরীফ একজন বাজে লোক সে মানুষের জমিতে
সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে নিজের বলে দাবি করে অন্যের কাছে আবার বিক্রির উদ্দেশ্যে বায়না করে। পরবর্তীতে জমি দিতে না পেরে একটি ব্যাংকের চেক ধরিয়ে দেয়। সময় মত টাকা দিতে না পারলে পাওনাদার তার বিরুদ্ধে মামলা দেয় এরকম মামলা তার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন।সে আমার জমিতে হাত দিয়ে সুবিধা করতে পারেনি আমি কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছি।
এলাকা ঘুরে আরো জানা যায় , শরীফ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তার নির্ধারিত কিছু দালালের মাধ্যমে জমি ক্রয় করার নামে বায়না করে নামে মাত্র দুই/ তিন লাখ টাকা দিয়ে আর টাকা না দিয়ে পুরো জমি দখল করে নেয়। যদি কেও তার সাথে কঠোর হয় তাহলে তাকে মেরে বালু চাপা দিয়ে রাখার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন এলাকার হত দরিদ্র মানুষেরা।
তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়,সে মীরপুর -১ এর আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্থ যোগান দাতাদের মধ্যে একজন ছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিগত ৫ আগষ্ট নারকীয় হত্যাযজ্ঞে শরীফ বিন আকবর খান সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তার নেতৃত্বে হাজার খানেক আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর দেশী বিদেশী অস্ত্র নিয়ে হায়নার মত ঝাপিয়ে পড়ে। ঐ দিন তাদের আক্রমণে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের প্রাণ হারাতে হয় । ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে আওয়ামী লীগকে অর্থ যোগান দিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের সকল শ্রেণীর নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছেন।
নারীদের প্রতি তার আলাদা সক্ষতা রয়েছে। রেহানা নামের এক ললিতাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ভোগ করে আসছে। রেহানাকে দিয়ে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের খাটের পার্টনার হিসেবে থাকতে দিয়ে নিজের কাজ হাসিল করে নেন। অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে রাখে সোসিয়াল মিডিয়া প্রকাশের ভয় দেখিয়ে কাজ হাসিল করে নেন। তাঁর কথার অবাধ্য কেও হলে রেহানা কে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
শরীফ বিন আকবর খান তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত বোট ক্লাবের একজন স্থায়ী সদস্য। মদ ও নারী হলো তার নিত্যদিনের সঙ্গী। ঢাকার বড় বড় শীল্পপতিদের সাথে তার উঠা বসা, এক সাথে মদ পান ও নারীবাজী করে তার ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করেছে। বিভিন্ন এমপি, মন্ত্রীদের নারী ও নেশায় মত্ত করে সুযোগ বুঝে ফায়দা হাসিল করে নেয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাঁধা কৃষ্ণের ছেলে বিনয় কৃষ্ণ তাঁর কাছে জমি বিক্রির উদ্দেশ্যে বায়না দলিল দেন। পরবর্তীতে জমির মূল্য পরিশোধ করে দলিল নেয়ার কথা বললে শরীফ ক্ষেপে গিয়ে তাকে চড় থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দেয়। আর বলে, তোর জমির টাকা নিয়ে গেছ আবার কিসের টাকা দেব। পরদিন থেকে আজ পর্যন্ত বিনয় কৃষ্ণের খোঁজ পাওয়া যায় নি। তার বাবা রাঁধা কৃষ্ণ ছেলের খোঁজে পাগল প্রায়। সেই জমিটা ও শরীফ দখল করে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয়। এভাবে করে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে সন্ত্রাস কায়দায় শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি।শরীফের কথার অবাধ্য হলে হতে হয় লাশ। ভুক্তভোগী জমির ক্রেতারা জমি পাওয়ার জন্য শরীফ বিন আকবর খান ও প্রকৌশলী নুর আলমের কাছে ধর্ণা কোনো লাভ হচ্ছেনা। জমির দলিল চাইতে নাজেহাল হচ্ছে পদে পদে। তাদের লাগাম টেনে ধরা না যায় তাহলে বড়ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মন্তব্য করুন