প্রতিবেদক : রাতুল ইসলাম তন্ময় ( গাজীপুর )
…………………………………………………………………….
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর গজারিয়ায়পাড়ায় এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ভেজাল দই ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দই,চিড়ার মোয়া,মিষ্টি, সন্দেশ সহ নানা প্রকার সামগ্রী অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে।
যার কোনটিরই উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেয়া নেই ।
প্রায় দেড় বছর যাবত ‘মিষ্টি দইয়ের কারখানা’ নামে চলছে ভেজাল দই উৎপাদন।
এসব সেখানে সরকারের অনুমোদন ছাড়াই গোপনে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন শিশুখাদ্যসহ নানান জাতের ভেজাল মিষ্টি দই। এসব ভেজাল খাদ্য সামগ্রী গাজীপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে দোকান গুলোতে ছাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। আর ক্রেতা হিসেবে সাধারণ মানুষ ও স্কুল পড়–য়া ছেলেমেয়েরা না জেনে এসব দই খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই।
অনুমোদনহীন ওই কারখানায় কর্মরত ছোটবড় কারিগর ও শ্রমিকরা খালি গায়ে, অপরিস্কার ও স্যাঁতস্যাতে দুর্গন্ধময় স্থানে তৈরী করছে বিষাক্ত রং মেশানো শিশুখাদ্য এবং মিষ্টি দই তৈরী ও বিভিন্ন খাবার উপকরণ।
এসব প্রতিষ্ঠানের নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স ও বি এস টি আই এর অনুমোদন।
দেখা যায়, কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও কারিগরদের পরনে নেই এ্যাপ্রোন, হাতে নেই হ্যান্ড গ্লোবস, মাস্ক ও হেডক্যাপ। ধুলি বালিময় খোলা মেঝেতে সারি সারি মাটির হাড়িঁ ও প্লাস্টিকের বাজারজাত প্যাকেট বসানো। আধুনিক কোন যন্ত্রপাতি নেই অথচ এখানেই ঢালা হচ্ছে দই তৈরীর নিম্নমানের চিনি ও দুধ মেশানো উপকরণ।
প্রসিদ্ধ কোম্পানীগুলোর নাম নকল করা মোড়কে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা হচ্ছে এসব দই। এবং ভেজাল দই মাটি ও প্লাস্টিকের বিভিন্ন সাইজের পাত্রে বাজারজাত করা হচ্ছে।
একবার চিন্তা করে দেখুন তো আপনার শিশুর হাতে যে খাবার টি তুলে দিচ্ছেন তা কতটা মানসম্মত ও স্বাস্থ্যকর?
এলাকার বেশকিছু প্রভাবশালী নেতাকে ম্যানেজ করে চলছে তাদের এই ব্যবসা।
এ ধরণের ভেজাল খাদ্য-সামগ্রীর কারখানা বিষয়ে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সরকারের অনুমোদনহীন এ ধরণের ভেজাল খাদ্য সামগ্রী তৈরীর কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন